আন্তর্জাতিক

আধঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়ন করা এক যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার রোববার (২৬ অক্টোবর)  বিকেলে আধঘণ্টার ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা এপি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে

অবশ্য যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলেও সৌভাগ্যক্রমে পাঁচ ক্রু সদস্যই জীবিত রয়েছেন। তবে আধঘণ্টার ব্যবধানে ঘটা এই দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে মার্কিন নৌবাহিনীর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিয়ে।

প্যাসিফিক ফ্লিটের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর এমএইচ-৬০আর সি হক হেলিকপ্টারের তিন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এফ/এ-১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানের দুই পাইলটও ইজেক্ট করে নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। মোট পাঁচজনই সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেনদুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এপি’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবসর নেওয়ার আগে ইউএসএস নিমিৎজ বর্তমানে তার শেষ মিশনে অংশ নিচ্ছে। পুরো গ্রীষ্মজুড়ে মধ্যপ্রাচ্যে টহল শেষ করে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের নেভাল বেস কিটস্যাপে ফিরে যাচ্ছে

এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করতে নিমিৎজকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল।

অবশ্য, মার্কিন সামরিক বাহিনীর রণতরীতে দুর্ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও মার্কিন নৌবাহিনীর আরেক রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান-এ পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছিলো

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ-১৮ জেটকে ভূপাতিত করে। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে আরেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার ডেক থেকে পিছলে লোহিত সাগরে পড়ে যায়।

এরপর মে মাসে আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেসময় লোহিত সাগরে ট্রুম্যান রণতরীতে অবতরণের সময় একটি এফ/এ সিরিজের যুদ্ধবিমান থামার তারে আটকে না গিয়ে সরাসরি সাগরে পড়ে যায়।

তবে এসব দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হননি। ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ হলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি মার্কিন সামরিক বাহিনী

 

এসএইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন