শিশির ভেজা ভোরে বদলে যাচ্ছে ঋতুর রং
ভোরের নরম আলোয় ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির যেন নিঃশব্দে ঘোষণা দিচ্ছে- ঋতুর পালাবদল কাছেই। দেশের বহু জায়গায় সকালবেলায় কুয়াশার চিকচিকে পর্দা নেমে আসে, শেষ রাতে হালকা শীতও টের পাওয়া যায়। তবু সকাল গড়িয়ে দুপুর, আর দুপুর থেকে মধ্যরাত—উত্তাপের অস্বস্তি যেন ছাড়তে চায় না। তাই সবার মনে একই প্রশ্ন—শীত আসলে কবে নামবে?
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতের আভাস পেলেই তাকে শীতকাল ধরা ঠিক নয়। প্রকৃত অর্থে শীত আসে তখনই, যখন রাতের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসে। পাশাপাশি দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া—এটিও শীতের আগমনের বড় লক্ষণ।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিকের ভাষায়, দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য যখন ১০ ডিগ্রি বা তার কমে নেমে আসে, তখন প্রকৃতিতেই শীতের অনুভূতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দিনের তাপমাত্রা যদি ২৬ ডিগ্রি হয় আর রাতের ১৬ বা তার কম—তাহলেই বুঝতে হবে, শীত আর দরজায় কড়া নাড়ছে না, ঘরে ঢুকেই পড়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে সাধারণত মধ্য নভেম্বর থেকেই প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে শীত নামতে শুরু করে। সে হিসেবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই দেশের বহু এলাকায় শীতের উপস্থিতি অনুভূত হবে, যদিও রাজধানীতে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে আরও কিছুটা।
আগামী কয়েকদিনে বাতাসের গতি বাড়লে ঠান্ডা বাড়তে পারে। তাছাড়া সূর্যের কিরণকাল কমে দিন ছোট হতে থাকলে, শীত ধীরে ধীরে তার পায়ের ধুলো মেখে হাজির হবে।
এসি//