আবহাওয়া

হিমালয়ের নিশ্বাসে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ

দেশের উত্তর প্রান্তে নেমে এসেছে শীতের নরম আগমনী বার্তা। কুয়াশায় মোড়া ভোর, শিশিরে ভেজা মাঠ—সব মিলিয়ে প্রকৃতি যেন সাজতে শুরু করেছে শীতের রূপে। সূর্য ওঠার আগেই ভোরের হিমেল হাওয়া জানিয়ে দিচ্ছে—উত্তরে শীত জেঁকে বসছে ধীরে ধীরে।

বিশেষ করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের দাপট এখন সবচেয়ে বেশি। গত তিন দিনের মতো বৃহস্পতিবারও (১৩ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এখানেই। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমেছে, তবুও উত্তরের হিমেল বাতাসে সকাল থেকে শীতের শিরশিরানি টের পাওয়া যাচ্ছে পুরো জেলায়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টার সময় তেঁতুলিয়ার বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার। সকাল থেকে বইতে থাকা শীতল হাওয়ার পরও দুপুর নাগাদ আকাশে দেখা মিলছে ঝলমলে রোদের, যা কিছুটা উষ্ণতা এনে দিলেও রাত নামতেই আবার নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা।

গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রার দ্রুত পতনেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে মৌসুমের পরিবর্তন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “উত্তর দিক থেকে এখন সরাসরি হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করছে। এ কারণেই তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। আগামী দিনগুলোতে ঠান্ডা আরও বাড়বে, মাসের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।”

দিনের বেলায় সূর্যের তেজ থাকলেও রাতের অন্ধকারে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে গ্রাম, পথ আর মাঠ। হাট-বাজারে বেড়েছে গরম চা ও পিঠার দোকানের ভিড়। শিশুরা জড়াচ্ছে কম্বল, কৃষকেরা মাঠে যাচ্ছেন মাফলার জড়িয়ে। প্রকৃতি যেন জানিয়ে দিচ্ছে—উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে শীতের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন