আতলেতিকো বাধা পেরিয়ে টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা
জিরোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ড্র বার্সেলোনাকে তুলে দিয়েছিল লা লিগার শীর্ষস্থান। কিন্তু সেই সুখবর সত্ত্বেও কাতালান সমর্থকদের মনে ছিল দুশ্চিন্তা। পরের ম্যাচেই যে প্রতিপক্ষ আতলেতিকো মাদ্রিদ। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সেই আশঙ্কা দূর করে বার্সেলোনা দেখাল দারুণ এক ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ। ক্যাম্প ন্যুতে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলের জয়ে নিজেদের সম্ভাবনার জানান দিয়েছে দলটি।
ম্যাচের শুরুতে সুযোগ ছিল বার্সারই। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে এগিয়ে যেতে পারত দলটি, কিন্তু রবার্ট লেভানডফস্কির শট ফিরিয়ে দেন আতলেতিকোর গোলরক্ষক। বিরতির পরও ৬৪ মিনিট পর্যন্ত রক্ষণ সামলে বার্সাকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিল দিয়েগো সিমিওনের দল। কিন্তু ৬৫ মিনিটে লেভারের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন দানি ওলমো, ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় সেখানেই। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে নিশ্চিত হয় কাতালানদের বড় জয়।
এ মৌসুমে লা লিগায় মোট ১৬টি ম্যাচে দলগুলো পিছিয়ে পড়ে জয় তুলে নিয়েছে, যার মধ্যে বার্সেলোনার জয়ই সবচেয়ে বেশি; পাঁচবার। অন্য কোনো দল দুবারের বেশি ঘুরে দাঁড়িয়ে জিততে পারেনি। হার দিয়ে মৌসুম শুরু করা আতলেতিকো এরপর টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেও বার্সার সামনে শেষ পর্যন্ত মাথা নত করতে হয়েছে তাদের।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৩। আজ রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জিতলেও দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হবে জাবি আলোনসোর দলকে। ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভিয়ারিয়াল এবং ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে আতলেতিকো।
ম্যাচের পর বার্সা কোচ হানসি ফ্লিক বলেন, “এটা শিরোপা লড়াইয়ে মোড় ঘোরানো ম্যাচ কি না, তা পরে জানা যাবে। তবে এটা আমাদের অন্যতম সেরা ম্যাচ ছিল। পুরো ৯০ মিনিট দল যেমন খেলেছে, দারুণ লেগেছে। আমরা আমাদের সেরা অবস্থায় ফিরছি।"
একই সুর বার্সা তারকা রাফিনিয়ার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, “এ ধরনের ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে হলে এমন মানসিকতাই দরকার। ম্যাচের পর ম্যাচে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। মৌসুমের শেষ দিকে এই তিন পয়েন্ট অনেক গুরুত্ব বহন করবে। এমন ম্যাচই শিরোপা নির্ধারণ করে দিতে পারে।”
এসএইচ//