শীতের মৃদু আঁচড়ে কাঁপছে নওগাঁ
উত্তরের জেলা নওগাঁয় শীত নেমে আসছে নিঃশব্দে—ভোরের কুয়াশা আর ঝিরঝিরে ঠান্ডা বাতাস মনে করিয়ে দিচ্ছে মৌসুম বদলের বার্তা। রাত যত গভীর হয়, শীতের স্পর্শও তত তীব্র হয়ে ওঠে; তবে দিনের আলো বাড়লে কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসে জনজীবনে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় বদলগাছি কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি কমেছে। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে কিছুটা উষ্ণতা পাওয়া যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, যারা খুব সকালে কৃষিকাজ বা জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হন, তাদেরকে গরম পোশাক ব্যবহার করতে হবে—কারণ এ সময় হালকা শীতও রোগব্যাধির ঝুঁকি বাড়ায়।
শীতের এই আগাম তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন দিনমজুর ও কৃষকরা।
এলাকার দিনমজুরেরা বলছেন—দিনআনা দিনখাওয়ার জীবন তাদেরকে ভোরের ঠান্ডা উপেক্ষা করেই রোজগারের জন্য বের হতে বাধ্য করে। অনেকেরই যথেষ্ট গরম কাপড় নেই, ফলে শীত তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকে।
কৃষকদের বক্তব্যও প্রায় একই। এখন মাঠে আলু, শিম, ফুলকপি, ধানসহ শীতকালীন ফসল রোপণের সময়। তাই সূর্য ওঠার আগেই কুয়াশা ভেদ করে মাঠে নামতে হয় তাদের। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদের দেখা মেলে, তবু দিনের শুরুটা জমাট ঠান্ডার ভেতর দিয়েই পার করতে হয় সবাইকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস—যা থেকে বোঝা যায়, শীতের তীব্রতা প্রতিদিনই ধীরে ধীরে বাড়ছে।
এসি//