বিশ্বে শীর্ষ ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ে ওসমান হাদির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
একই সময়ে বিশ্বের ৫ হাজার ৮২০ জন মানুষ যে ফ্লাইটটি ট্র্যাক করছিলেন, সেটি কোনো বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ নয়—মাথায় গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ে সেদিন বিশ্বের সব ফ্লাইটের মধ্যে শীর্ষে উঠে আসে এই উড়োজাহাজটি, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে উড়োজাহাজটি।
বেলা সোয়া একটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওসমান হাদিকে বহনকারী আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়। দেড়টার কিছু আগে সেটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে এবং পরে তাকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
এর আগে একই দিন বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছায়।
চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে গেছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল।
ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়, যার প্রতিফলন দেখা যায় ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়েও।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে এভাবে একযোগে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফ্লাইট ট্র্যাক করার ঘটনা আগে দেখা যায়নি।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।
এসি//