আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ভারতে কুম্ভমেলা আরও খারাপ করবে করোনা পরিস্থিতি

ভারতের হরিদ্বারের কুম্ভমেলাকে করোনার সুপার স্প্রেডার বলা হচ্ছে। তারপরও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেলা চালিয়ে যেতে অনড় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আয়োজন সংক্ষিপ্ত করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, কার্যত লকডাউনে মহারাষ্ট্র রাজ্য। দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে চলছে কারফিউ। ব্যতিক্রম শুধু উত্তরাখন্ডের হরিদ্বার। সেখানে চলছে কুম্ভ মেলা। পুণ্যস্নানের জন্য জড়ো হয়েছে লাখ লাখ পূন্নার্থী। সেখানে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। সরকারি হিসেবে, হরিদ্বারে দুই দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার জন। তারপরও ভিড় কমানোর কোনো চেষ্টাই নেই।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরাথ সিং রাওয়াত বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলে ধর্মকে অবহেলা করা যাবে না। অথচ এর আগে দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে দুর্গাপূজার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ঘরে বসে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে। একইভাবে পালন করা হয়েছে বেশিরভাগ ধর্মীয় উৎসব।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দিল্লির নিজামুদ্দিনে মুসলমানদের ধর্মীয় সম্মেলনকে দায়ী করা হয়েছিল। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। তবে কুম্ভমেলার ক্ষেত্রে কেন অন্য নীতি নেওয়া হলো? এমন প্রশ্নে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কুম্ভের সঙ্গে নিজামুদ্দিনের ঘটনার কোনো তুলনা চলে না। নিজামুদ্দিনে ছিলেন মূলত বিদেশিরা। আর কুম্ভে গেছে দেশের মানুষ। এর সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে আছে। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কুম্ভমেলা কোনোভাবেই সংক্ষিপ্ত করা হবে না।

এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে কুম্ভ ফেরতরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কুম্ভের কারণে ভয়ংকরভাবে বেড়ে যেতে পারে করোনা।

করোনা আক্রান্ত শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। প্রতিদিনই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশটিতে গেল ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছে এক হাজার এক শ’ জনের বেশি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন