আর্কাইভ থেকে এশিয়া

ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চান সৌদি যুবরাজ

বৈরিতা ভুলে ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায় সৌদি আরব। আল-অ্যারাবিয়া টেলিভিশনের বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গেল মঙ্গলবার রাতে আল-অ্যারাবিয়া টিভিতে প্রচারিত বিশেষ সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়নে ইরানের সহযোগিতা চায় সৌদি আরব। তার দেশ চায় না ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল হয়ে যাক। তিনি বলেন, সবকিছুর পরও ইরান আমাদের প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই।

ইয়ামেনের যুদ্ধ সম্পর্কে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, কোনো দেশ চাইবে না তার সীমান্তে অস্ত্রধারী মিলিশিয়ারা থাকুক। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আলোচনা টেবিলে বসে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান সৌদি যুবরাজ।

তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের কিছু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত অস্ত্রধারীদের সহায়তা করা। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে সৌদি আরব।

ইরান সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এই মন্তব্য আগের তুলনায় অনেক বেশি সংযত। এর আগে ২০১৮ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।

চলতি বছরই বিবিসি জানিয়েছিলো, দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের জন্য ইরাকে একটি গোপন বৈঠক করেছে দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিরা। বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে। এ খবরের সত্যতা স্বীকার বা নাকচ কোনটিই করেনি ইরান। তবে যে কোনো ধরনের সংলাপকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছে দেশটি।

সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা সৌদি আরব এবং শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য বহু দশক ধরেই উত্তেজনা চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। বিশেষ করে, ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে।

২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে সরকার-সমর্থিত বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর জোট। অপরদিকে হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান। যদিও বিদ্রোহীদের কোনো ধরনের অস্ত্র দেওয়ার কথা বরাবরই অস্বীকার করে দেশটি। এছাড়া লেবানন ও ইরাকে হস্তক্ষেপের জন্য ইরানকে দায়ী করে যাচ্ছে সৌদি আরব।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন