ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা মামলার আসামি মো. মানিক র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার (২১ মে) ভোরে মিরপুরের রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’তিনি মারা যান।
পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হয়েছে। মানিকের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। তিন মাস আগেও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
গেলো ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে শাহীন উদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জানা গেছে, এ হত্যাকাণ্ডে সুমন, মানিক ও মনিরসহ আরও কয়েকজন সরাসরি অংশ নেন। এ ঘটার নির্দেশদাতা ও মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল।
এ ঘটনায় আউয়াল, বাবু ও হাসানসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রধান আসামি আউয়ালসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ১৬ মে পল্লবীতে নৃশংসভাবে সাহিনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর পল্লবীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন এমএ আউয়ালকে ফোন করে জানায় ‘স্যার ফিনিশ’।
তিনি আরও জানান, চাঁদপুরের হাইমচর এলাকা থেকে হাসান, ভৈরব সদর এলাকা থেকে মো. আউয়াল, ও পটুয়াখালী জেলার বাউফল থেকে জহিরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাহিনুদ্দিনের মা মোসাঃ আকলিমা রাজধানী পল্লবী থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৪ থেকে ১৫ জন আসামি করা হয়।