আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

করোনাকালে বিয়ে: ব্যাঙের মতো লাফিয়ে বাড়ি ফিরলো আমন্ত্রিতরা

ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণে অস্থির পুরো দেশ। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। শ্মশান, কবরস্থান কোথাও জায়গা নেই, লাশ ভাসছে গঙ্গায়। এমন পরিস্থিতিতেও দেশটির অনেক স্থানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। করোনাবিধি উপেক্ষা করে চলছে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়েশাদি। তেমনই এক বিয়েতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমন্ত্রিতরা। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে প্রকাশ, করোনাবিধি উপেক্ষা করে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন প্রায় ৩০০ অতিথি। বিয়ের আনন্দে ভুরিভোজ করতে যাওয়া ওইসব অতিথিরা ফেরার পথে খেলেন পুলিশের লাঠির বাড়ি। সঙ্গে শাস্তি হিসেবে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরলেন ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে। 

ভারতের মধ্য প্রদেশ ভিন্দের এই ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল। যা দেখে নেটিজেনদের একটাই মন্তব্য, ‘ঠিক হয়েছে।’ 

ঠিক কী হয়েছে? জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে কড়া আইন। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানও খুব কম সংখ্যক অতিথি নিয়ে সারতে হচ্ছে। সম্প্রতি সেখানে ভিন্দের একটি বিয়েবাড়িতে প্রায় ৩শর ওপর লোক নিমন্ত্রিত হয়। পুলিশের কানে সেকথা পৌঁছানো মাত্রই বাহিনী নিয়ে সেই বিয়েবাড়িতে হাজির হয় ভিন্দ পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানায়, পুলিশের প্রবেশের বিষয়টি আঁচ করে নিমন্ত্রিতরা ছুটে পালানোর চেষ্টা শুরু করেন। তাদের মধ্যেই ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ যাতে ভবিষ্যতে না করেন তার জন্য উচিত শিক্ষা দিতে আটককৃতদের রাস্তার মধ্যে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে যেতে বাধ্য করে।

পুরো ঘটনাটির ভিডিও টুইটারে দেয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পর পর ব্যাঙের মতো লাফিয়ে চলছেন সকলে। একজন আবার ঠিকমতো লাফাতে পারছিলেন না বলে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশের লাঠির ঘা-ও পড়ল তার পিঠে। সপ্তাহখানেক আগে বিহারের কৃষ্ণগঞ্জেও ঠিক একই ছবি দেখা গিয়েছিল। সেখানেও করোনাবিধি উপেক্ষা করার জন্য একদল যুবককে বাজারের মধ্যে ব্যাঙের মতো লাফাতে হয়েছিল।

এরকমই কিছু করতে গিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ত্রিপুরার এক জেলা শাসক। যদিও পরে নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক চাপে তাকে সরতে হয়েছে পদ থেকে। এখন দেখার বিষয় ভিন্দের এই ঘটনার প্রভাব কতটা পড়ে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন