আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

বাইডেনের সঙ্গে ফ্লয়েডের পরিবারের বৈঠক, বর্জন করেছেন বোন

পুলিশের নির্যাতনে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েডের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে বর্জন করেছেন ফ্লয়েডের বোন।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, জর্জ ফ্লয়েডের বোনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ সংস্কার আইন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই এ বৈঠক বর্জন করেছেন তিনি।

তবে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছে ফ্লয়েডের পরিবারের অন্য সদস্যরা। প্রেসিডেন্টকে পুলিশ সংস্কার বিল পাশ করার জন্য অনুরোধ করে তারা।

বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, তিনি চান এবার পুলিশি সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করুক আইনসভার সদস্যরা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস ও উচ্চকক্ষ সেনেট দুই কক্ষের সদস্যরা যেন বিল পাস করতে উদ্যোগী হয় তাই চাইছেন বাইডেন।

প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে বিল পাস হয়ে যাক। বিলে ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে বিভেদ বন্ধ, পুলিশি দুর্ব্যবহারের জন্য ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি তৈরি করা এবং পুলিশ অফিসারদের রক্ষাকবচ বাতিলের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

বাইডেন আরো জানিয়েছেন, ফ্লয়েড ছিলেন খাঁটি মানুষ। তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ আমার হয়েছিল। বাইডেনের বিশ্বাস, ফ্লয়েডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শুনে খুশি হয়েছে তার পরিবার। গেল মাসে ফ্লয়েডের হত্যাকারী পুলিশ অফিসারের শাস্তি হয়েছে। এটা ন্যায়বিচারের প্রথম ধাপ।

এক বছর আগে মার্কিন পুলিশের হাতে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড। তার শেষ কথাগুলো ছিল, আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। এক কৃষ্ণাঙ্গর উপর পুলিশের ব্যবহার দেখে চমকে উঠেছিল বিশ্ব। ফ্লয়েডের মৃত্যুর এক বছর পর হোয়াইট হাউসে তার পরিবারের মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এদিকে, ফ্লয়েডের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমাবেশ হয়েছে। ফ্লয়েডের নিজের শহর মিনেপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড স্কোয়ারে সমবেত হয়েছিল প্রচুর মানুষ।

গেল বছর মিনেসোটায় শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে নিহত হন ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েড। এরপরই প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা। বিচারে পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের জেল হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন