আর্কাইভ থেকে ফুটবল

২২ পেনাল্টির লোমহর্ষক ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের ইতিহাস

আরো একটি ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতলেন উনাই এমেরি। পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারে এই নিয়ে সর্বমোট ৪ বার ইউরোপার শিরোপা ঘরে তুললেন এই মাস্টারমাইন্ড। ওদিকে ঠিক বিপরীত মেরুতে ম্যান ইউ বস ওলে গানার সুলশার। লাল শত্রুদের দায়িত্ব নেয়ার পর কোনো শিরোপায় চুমু খাওয়া হয়নি তার। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। হাইভোল্টেজ ম্যাচে রেড ডেভিলদের হারিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতলো ভিয়ারিয়াল।

নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত খেলায় সমতা থাকলেও ভাগ্যনির্ধারণী অদ্ভুত এক টাইব্রেকারে শিরোপা জিতল স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল, তাও আবার সেটা ম্যাচের ১১তম কিকে। দুই দলের মাঠে থাকা সব ফুটবলার গোল করলেন শুধু ম্যান ইউর ডি গিয়া বাদে। আর তাতেই ইতিহাস গড়লো ভিয়ারিয়াল।
 
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে জেরার্ডো মরেনোর গোলে ভিয়ারিয়াল এগিয়ে যায়। সেট পিস থেকে ইউনাইটেড রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফর্মে থাকা এই স্ট্রাইকার। এরপর ইউনাইটেড খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। রাশফোর্ড সহজ একটা সুযোগ নষ্ট না করলে সমতা ফেরাতে পারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫তম মিনিটে সাফল্য পায় ম্যানইউ। এবারও সেট পিসের পর রাশফোর্ডের শট দিক বদলে কাভানির কাছে এসে পড়লে, সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে সাফল্য এনে দেন।

ওই পর্যন্ত এরপর আর দুই দলের কেউ গোল পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও একই ফলাফল বহাল থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই ভুল করছিলেন না। 

একসময় পর্যন্ত ব্যবধান থাকে ১০-১০। শেষ পর্যন্ত দুই গোলরক্ষকের শটে নির্ধারিত হয় শিরোপাভাগ্য। যেখানে ভিয়ারিয়ালের রুলি গোল করলেও ব্যর্থ হন ম্যান ইউর ডি গিয়া। ঠিক সাথে সাথেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় ভিয়ারিয়াল।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন