আশ্রয়কেন্দ্রে খুলনায় ৬ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে খুলনায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৬০ গ্রাম। এসব গ্রামের ছয় হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার নদী উত্তাল হয়ে উঠলে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হলে বুধবার রাতই মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, পবনার বেড়িবাঁধ, মঠবাড়ি মঠের কোনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চোকুনী, তেঁতুলতলার চর, শিংগির-কণা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাতিরঘেরী, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে আংটিহারা ও বিনাপানি পদ্মপুকুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া পাইকগাছার সদর, কাঁচামালের পট্টি, সোনা পট্টি, কাপড়ের পট্টি, কাঁকড়া পট্টি, মাছ বাজারসহ পৌর বাজারের সব রাস্তা পানির নিচে।
কপিলমুনির আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ, দেলুটির চকরিবকরি, গেয়ুবুনিয়া, মধুখালী, পারমধুখালী, রাড়ুলীর মালোপাড়র বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকেছে। অপরদিকে দাকোপ উপজেলার কামিনিবাসিয়া, পানখালী এবং মেরিন কোম্পানির আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০ পরিবার।
শেখ সোহান