‘ব্লাক ফাঙ্গাস’ এর ইতিহাস: একশো বছরের পুরনো রোগ (ভিডিও)
‘ব্লাক ফাঙ্গাস’ চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি নতুন আতঙ্ক। আতঙ্কটি নতুন হলেও প্রায় একশো বছরের পুরনো ছত্রাকজনিত রোগ এটি।
প্রতি বছরই বাংলাদেশে কিছু মানুষ বিরল এই রোগ আক্রান্ত হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসসহ নানা কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। চোখের দৃষ্টি ঘোলা হয়। মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় শরীরে দেখা দেয় কালো দাগ।
মাটি, গাছপালা, সার বা পচনশীল ফল ও সবজির মধ্যে ‘ব্লাক ফাঙ্গাস’ বিচরণ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অথবা স্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই ছত্রাকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ছত্রাকটি নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সাইনাসে এবং ফুসফুসে ঢুকতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে কিংবা শরীরে কাটাছেঁড়া, পোড়া বা চামড়ায় ক্ষত থাকলেও এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গবেষকরা বলেছেন, প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে দু’জন এই ছত্রাকে সংক্রমিত হয় তবে রোগটি ছোঁয়াচে নয়। বাংলাদেশের প্রায় সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বø্যাক ফাঙ্গাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্লাক ফাঙ্গাস’ থেকে রক্ষা পেতে খালি পায়ে না হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি স্যাঁতস্যাঁতে, ময়লা আবর্জনামুক্ত স্থান এড়িয়ে চলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের তাগিদ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ভিডিও...