নাবালিকার গর্ভে ধর্ষকের সন্তান, বিয়ের শর্তে জামিন
জামিন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ‘নাবালিকা’কে বিয়ে করতে হবে ধর্ষককে। এই শর্তে পকসো মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছেন ভারতের ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ বলা হয়েছে- নাবালিকার পরিবারের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার শুনানি ছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। মামলা শুনেছেন বিচারপতি দীনেশকুমার সিংহ। দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি সিংহ শর্তসাপেক্ষে ধর্ষণে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন। সেই শর্ত হচ্ছে- ১৫ দিনের মধ্যে ওই ধর্ষিতাকেই বিয়ে করতে হবে ধর্ষণে অভিযুক্ত জেলবন্দিকে। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়- নির্যাতিতার সন্তানের বাবা আসলে ওই ধর্ষকই। সদ্য মা হয়েছে নির্যাতিতা। তার ‘অসহায়’ বাবা এবং পরিবারের কথা ভেবে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ওই অভিযুক্ত জেলে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন নির্যাতন ছাড়াও পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এফআইআর অনুযায়ী, এক ১৭ বছরের নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এই ঘটনার পর সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে নির্যাতিতা। ইতোমধ্যে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে সে। যার বয়স এক মাস। কিছু দিন আগে অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান, তার মক্কেল ওই নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে চান। আইনজীবীর দাবি, দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিল। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে ডেকে পাঠানো হয় মেয়ে এবং তার বাবাকে। আদালতে তারা জানান, এই বিয়েতে তাদের অসম্মতি নেই।