আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জায়াগা নেই হাসপাতলে, প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী আসছে : স্বাস্থ্য সচিব

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে সিট নেই। তবুও রোগীরা আসছে, কিন্তু আমরা তো তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। হাসপাতালের মেঝেতে হলেও তাদের জায়গা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছি । রাজধানীর কোনো হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা নেই। তবুও প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী আসছে। বললেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আজকের সভায় আমরা হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যাপ্ত ফ্লুইড সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগীরা যদি মশারি নিয়ে না আসে, তাহলে আমারা ব্যবস্থা করে দিবো।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোকে বলেছি, দ্রুত হটস্পটগুলোতে অভিযানের ব্যবস্থা করেন। অভিযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। মিডিয়ার ফোকেস আনেন। ময়লাগুলো দ্রুত পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন। আজকের ময়লা যেন আগামি কাল পর্যন্ত না থাকে । ময়লা ম্যানেজমেন্টে অনেক ঝামেলা আছে, তারপরও আপনারা নিজ দায়িত্বে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরই বিপদ শুরু হয়। তখনই প্লাটিলেট নামা শুরু করে। ওই সময়টাতে রোগীরাও বুঝতে পারে না। তারা মনে করে সুস্থ হয়ে গেছে। এমনকি বিছানা থেকেও উঠে যায়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ব্রিডিং শুরু হয়ে গেলে তখন ডাক্তারও কিছু করতে পারে না। ১০-১২ হাজারে প্লাটিলেট চলে এলেই দাতের গোড়া থেকেসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্রিডিং শুরু হয়। সুতরাং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

সচেতনতা প্রসঙ্গে সচিব বলেন,  আমরা অভিযান পরিচালনা করে ও কিছু করতে পারব না। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশেপাশের জায়গাগুলো পরিস্কার রাখতে হবে। ডাবের পানি ডেঙ্গুতে খুবই জরুরি, কিন্তু ডাবের খোসা আমাদের জন্য সর্বনাশের কারণ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন