আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ফাইজারের টিকা শুধু রাজধানীর চারটি কেন্দ্রেই দেয়া হবে।

ফাইজারের টিকা শুধু রাজধানীর চারটি কেন্দ্রেই দেয়া হবে।  
যে চার কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা নেয়া যাবে-
কোনো ভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না ফাইজার। 
দীর্ঘ প্রতিক্ষা আর দিনভর নাটকীয়তা শেষে ফাইজারের ১ লাখ ৬০০ ডোজ টিকা এখন দেশে। এ টিকা আপাতত রাজধানীতেই চারটি কেন্দ্র থেকে দেয়া হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য এ কেন্দ্রগুলোরই প্রস্তাব কোরেছে। সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই প্রথম চালান।
সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে যারা এই টিকার নিবন্ধন করবেন তাদের এ টিকা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন অর্থাৎ বাহুর উপরের মাংসপেশিতে দেয়া হবে এই টিকা। আর সঠিকভাবে টিকা দিতে ব্যবহার করতে হবে, শূন্য দশমিক ৩ এমএল এডি সিরিঞ্জ। 
ফাইজারের টিকা জমানো, জীবাণুমুক্ত, প্রিজারভেটিভ এবং এডজুভেন্ট মুক্ত, মাল্টি-ডোজ কন্সেট্রেট অর্থাৎ ঘনীভূত তাই মানবদেহে প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংমিশ্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে এক ভায়ালের সঙ্গে ডাইলুয়েট মিশ্রণের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে। সংমিশ্রণের জন্য দুই এমএলের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গর্ভবতী এবং শিশুকে দুধ খা্ওয়াচ্ছেন এমন ”মা” এলার্জি প্রতিক্রিয়া আছে তাদের এই টিকা দেওয়া যাবে না।এছাড়া্ও কারো শরীরে জ্বর থাকলে অর্থাৎ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি তাপমাত্রা থাকলে টিকা দেওয়া যাবে না। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন