পায়রা-মোংলায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’এ রূপ নিয়েছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৫ জেলায় ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রগতি অংশের প্রভাবে ঊপকূলীয় জেলাগুলোর নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের উপকূলের জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে খাদ্য মজুদের নির্দেশ দিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ ভোর ৫টা থেকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
হাফিজুর রহমান জানান, দেশের অন্যত্র পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকবে। অর্থাৎ আজ থেকে সারাদেশেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা বাড়ছে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে।