শেষ বলে নাটকীয় ভাবে পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম দুই বলে ৭ রান নিয়ে এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু পরে জিম্বাবুয়ের বোলার ব্রাড ইভান্সের ম্যাজিকের সাথে উইকেটকিপার রেজিস চাকাভার দৃঢ়তায় শেষ বলে ১ রানের নাটকীয়ভাবে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পার্থে রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ভালো সূচনা করতে পারেননি। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজম ফিরে যাওয়ার পর ২৩ রানে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। এরপর আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ইফতেখার আহমেদও ৫ রান করে ফেরেন দলীয় ৩৬ রানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত সময়ে ৮ উইকেটে ১২৯ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে প্রথম জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
১৩০ রানের সাদামাটা সংগ্রহ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫৪ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জয় থেকে তখন ৬০ বলে ৭৭ রানের দূরত্ব। উইকেটে শান মাসুদ থাকায় দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেনি পাকিস্তানের সমর্থকদের।
১৪ তম ওভারে সিকান্দার রাজা হঠাৎ করেই অজন্তা মেন্ডিস কিংবা সুনীল নারাইন হয়ে ওঠায় জমে ওঠে ম্যাচ। ৩৬ বলে দরকার ৪৩, উইকেটে শান মাসুদ ও নেওয়াজ। তাঁদের পর আর কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই!
শান মাসুদ ও শাদাব খান দলের বিপর্যয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন। তবে শাদাব ১৭ রান করে ফিরলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। পরের বলেই শূন্য রানে ফেরেন হায়দার আলী। এই দুজনকে ফেরান সিকান্দার রাজা।
তবে একা হাতে প্রতিরোধ করা শান মাসুদ সিকান্দার রাজার পরের ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে। পরে মোহাম্মদ নওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে জয়ের আশা জাগালেও ম্যাচের শেষ বলের নাটকীয়তায় ১ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।