আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

শশার খোসা, বাগান পরিচর্যার সঞ্জীবনী সুধা

অনেকেই এখন বাড়ির এক চিলতে বারান্দায় কিংবা ছাদে শখের বাগার করে থাকেন। যাদের এই বাগান করার শখ রয়েছে, তারা অনেক সময়েই গাছের জৈব সার খোঁজেন। কিন্তু বাজার থেকে সব সময়ে রাসায়নিক সার কেনার সময় হয় না। তা ছাড়া, রাসায়নিক সারে বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান থাকে। যা থেকে গাছের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ঘরের নিত্য দিনের রান্নার সবজি থেকেও পাওয়া যায় এই জৈব সার। শশা তার মধ্যে অন্যতম। শশার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফসফরাস। তাই শশার খোসা থেকেই বানিয়ে ফেলা যায় ভাল মানের জৈব সার।

সার তৈরির পদ্ধতি:

প্রথম পদ্ধতি-

একটি কাচের বয়ামে পানি ভরে তাতে শশার খোসাগুলি রেখে দিন। পাত্রটির মুখ ভাল করে বন্ধ করে ৫ দিন রেখে দিতে হবে। এ কদিনের মধ্যে বোতলটি নাড়াচাড়া করা যাবে না। ৫ দিন পর পাত্রের পানি থেকে খোসার অবশিষ্ট অংশ ছেঁকে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর যে পানিটা থেকে যাবে, সেটিই ব্যবহার করা যাবে সার হিসাবে। এই পানিই নিয়ম করে গাছে দিন। তিন সপ্তাহ অন্তর এই পানি গাছের গোড়ায় দেয়া যাবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি-

শশার খোসা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো খোসা পুড়িয়ে, খোসা পোড়ানো ছাই গাছের গোড়ায় দিলেও মিলতে পারে উপকার। এ সবের কিছুই না করতে চাইলে, সরাসরি টবের মাটিতে শশার খোসা টুকরো টুকরো করে মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে পোকামাকড় কম হয়।

শশার খোসা

শশার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফসফরাস থাকে, তাই ঠিক মতো কাজে লাগানো গেলে শসার খোসাই হয়ে উঠতে পারে বাগানের গাছগাছালির সঞ্জীবনী সুধা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন