কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে আমীর হামজা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত শিমু আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সকালে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের কৃষিশ্রমিক ছায়েদুল হক অন্যের জমিতে কাজ করতে যান। ওইদিন তার স্ত্রী বেড়ানোর জন্য মৌলভীবাজার আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে একই গ্রামের আসামি বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজা ঘরে ঢুকে ছায়েদুল হকের মেয়ে শিমু আক্তারকে (১০) ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগী শিমু এ ঘটনা তার বাবাকে বলে দিতে চাইলে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শিমুকে হত্যা করে। দুপুরে ভুক্তভোগী বাবা ছায়েদুল হক বাড়ি ফিরে ঘরের মেঝেতে মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ আসামি বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর স্পেশাল পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ মামলার দুই আসামি বাচ্চু মিয়া ও আমীর হামজাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন।