আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি ক্রিকেটাররা'

টি টোয়েন্টিতে কিভাবে খেলতে হবে, কার কি ভূমিকা রাখতে হবে। সেটা জানেন না ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স নিয়ে এমন মন্তব্য সাবেক ক্রিকেটার ও লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ কোচ আফতাব আহমেদের। আউট হওয়ার ভয়ে ব্যাটসম্যানরা বড় শটও খেলতে চান না বলে মনে করেন বিসিবি পরিচালক ও আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

ফরম্যাট যত ছোট, খেলার ধরণটা তত বদলে যায়। ব্যাটসম্যানরা হয়ে ওঠেন আক্রমনাত্বক। বোলাররাও উইকেটের চেয়ে রান আটকানোকে দেন প্রাধান্য। ২০ ওভারের ম্যাচে এমন ঢংয়ে যখন মানিয়ে নিচ্ছে দলগুলো। ব্যতিক্রম যেন বাংলাদেশ। যেখানে ফরম্যাট আলাদা করা মুশকিল। শুধু যে জাতীয় দল তা নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা লিগেও একই চিত্র।

প্রথম তিন রাউন্ডে দলীয় স্কোর ২০০ এর কাছাকাছি নিতে পারেনি কোন দল। ব্যাটিংয়ে আসেনি কারো সেঞ্চুরি। ফিফটির সংখ্যাও ১২টি। স্ট্রাইক রেট নিম্নমুখী। সেরা দশ ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট ফরম্যাট বদল হলেও নিজেদের বদলাতে পারেননি তারা। ১৪০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল ও ব্রাদার্সের মিজানুর রহমান। বাকিদের রান তোলার গতি মন্থর। কেন এমন হাল?
 
শুধুই কি বড় শট খেলতে না পারার ব্যর্থতা?  লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ কোচ আফতাব আহমেদের চোখে ধরা পড়েছে আরও কিছু কারণ। ক্রিকেটারদের চিন্তা-মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এ ক্রিকেটার।

তবে বোলারদের পারফরম্যান্স তুলনামুলক ভালো। এক ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের ৫ বা তানজীম সাকিব, তানভীর ইসলামের ৩ উইকেট তারই উদাহরণ। টি টোয়েন্টিতে আশা জাগানিয়া।

মিরপুরের উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের অজুহাত থাকলেও তা মানতে নারাজ খালেদ মাহমুদ।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন