আর্কাইভ থেকে অপরাধ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতি ও সরকারী ঘর বরাদ্দে অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠেছে।  ইউপি সদস্যরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

 

যদিও নিজের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রফিকুল ইসলাম সিকদার। তিনি বলেন, কেউ বলতে পারবেনা আমি অনিয়ম দূর্নীতি করেছি। মেম্বররা একতরফা ষড়যন্ত্র করছে আমার বিরুদ্ধে।

 

স্থানীয়রা বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ৪ নং রুপবাটি ইউনিয়ন পরিষদে দুই দুইবার আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সিকদার নির্বাচিত হলেও উল্লেখ্যোগ্য কোন পরিবর্তন হয়নি কোন এই ইউনিয়নে। তবে স্থানীয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা আর সরকারী প্রকলপের টাকা পকেটে পুড়ে শুধু বদলেছে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মানিক।

 

ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের নির্ধারিত ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী আহম্মদপুর গ্রামে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয় ইউপি ভবন। কিন্তু ভবন নির্মান হলেও একদিনও অফিস করেননি এই চেয়ারম্যান। তিনি তার নিজ এলাকায় ঘর ভাড়া করে চালাচ্ছেন পরিষদের সকল কার্যক্রম। এতে করে ইউপি সেবা পেতে নানা ভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারন মানুষের।

 

তারা আরো বলেন, পরিষদে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ দিলে চেয়ারম্যান কোন কাজ না করে সকল বিল উত্তোলন করে নেন। এছাড়াও ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর প্রদানে ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন তিনি। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানে চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। খানা খন্দে ভরপুর পুরো ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট গুলো।

 

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা জানান,ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয় গুলো তদন্তের জন্য মাঠে কাজ করছি। তদন্ত শেষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন