আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

রাজশাহীতে করোনার ফ্রি র‌্যাপিড টেস্টে মিলছে ব্যাপক সাড়া

করোনার ভাইরাসের নমুনা জোট নিরসনে রাজশাহীতে চাহিদা বাড়ছে ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম। জেলা প্রশসানের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে সাধারণ মানুষ অনেকটা উৎসাহ নিয়েই ভীড় করছেন ভ্রাম্যমাণ ফ্রি করোনা টেস্ট বুথে। চাহিদা বাড়ায় এখন শুধু নগরীতেই নয়, জেলা পর্যায়েও এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

মানুষ করোনার নমুনা দেয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারছেন করোনার ফলাফল।

প্রতিদিন নগরীর ৮টি ও জেলা পর্যায়ে ৯টি স্থানে ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলায় প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার থেকে ২৪শ মানুষের করোনা টষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে এ কার্যক্রমে।

জানা গেছে, আগে রাজশাহীর তিনটি ল্যাবে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হতো। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজের ল্যাবেই মূলত বেশি করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হতো। এতে দেখা যায়, করোনার নমুনা দেয়ার পর অপেক্ষা করতে হয় ২৪ঘন্টা। মাঝে মাঝে নমুনার বেশি হলে ফলাফল পেতে দুই দিন তিনদিন সময় গেলে যায়। অনেক সময় নমুনা বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে পরীক্ষা করা সম্ভব হতো না। এতে করোনায় কেউ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর পরও জানতে পারতো না যে মৃত ব্যক্তিটি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

বিষয়গুলো চিন্তা করেই ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। তবে ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই জনসাধারণের মধ্যে করোনা টেস্টের সাড়া পড়ে যায়।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, ধারণা করা হয়েছিল সাধারণ মানুষ ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রমে তেমন সাড়া মিলবে না। কারণ অনেক মানুষের করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও তারা রামেক হাসপাতাল কিংবা কলেজের ল্যাবে নমুনা দিতে দ্বিধাবিভক্তির মধ্যে পড়তো। কিন্তু সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে করোনা টেষ্টের বিষয়টি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। কারণ পরীক্ষার পর সেখানেই জানিয়ে দেয়া হচ্ছে ফলাফল।

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে প্রতিদিন ১হাজার থেকে ১২শ’ মানুষের করোনা টেষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও নগরী থেকে জেলা করোনা শনাক্তের হার অনেক কম। ফ্রি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম করোনা প্রতিরোধে কার্যকরি ভুমিকা রাখবে বলেও তিনি বলেন।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন