‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ টি-শার্ট কাতার মাঠে
২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। সে আসরে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ফিফার টি-শার্ট যাবে কাতারে। চট্টগ্রামের একটি কারখানায় তৈরি হয়েছে ফিফার আর্টিফিশিয়াল টি-শার্ট।
বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয় কাতার।
বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ৬ লাখ টি শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দিয়েছিল।
২০২১ সালে টি-শার্ট তৈরির কার্যাদেশ পায় সনেট টেক্সটাইল। ফিফার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরু করে ৬ লাখ পিস টি-শার্ট। এসব টি-শার্টের রপ্তানি মূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে ২ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালের ইউরো কাপেরও কাপেও ২ লাখ ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট তৈরি করে তারা।
সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক লায়ন গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও ফিফার জন্য টি-শার্ট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও আমাদের নিয়মিত ক্রেতা রাশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কার্যাদেশ পেয়েছে।
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সনেট টেক্সটাইল তাদের মোট তিনটি কারখানায় বার্ষিক রপ্তানি ২ কোটি ডলার বা প্রায় ১৭১ কোটি টাকা ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০-১২টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে পোশাক কেনে।