ফুলকো লুচি!
বাঙালীর ফুলকো লুচি সারা দুনিয়া বিখ্যাত। পাঁঠার মাংস হোক বা নিরামিষ আলুর দম, ফুলকো লুচি দিয়ে খেলেই তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কোনও বাড়িতে ময়দার লুচি হয়, কেউ আবার স্বাস্থ্য সচেতন তাই আটার লুচি খান। লুচি যেভাবেই বানানো হোক না কেন, না ফুললে কিন্তু খেতে মজা আসে না। চিমটে লুচি খেতে মোটেই ভাল লাগে না। যাই হোক ‘কষ্ট করলে যেমন কেষ্ট মেলে’ তেমনই লুচি বানানোর সঠিক বিধি মেনে তা বানালে নরম ফুলকো লুচি হতে বাধ্য।
লুচির ময়দা মাখার সময় যদি তাতে এক চিমটে বেকিং সোডা দিয়ে দেন, তা হলে লুচি কিন্তু খুব ভাল ভাবে ফুলবে। তবে বেকিং সোডা বেশি হয়ে গেলে কিন্তু লুচি অনেক বেশি তেল টেনে নেবে আর খেতেও ভাল লাগবে না। তাই পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
ময়দা বা আটার সময় যদি টক দই মেশানো হয় তাহলেও কিন্তু লুচি দারুণ ফোলে। লুচি মুচমুচে খেতে ভাল লাগে না। দই দিলে লুচি নরম হবে, মুচমুচে হবে না।
লুচি বানানোর ক্ষেত্রে ময়ান দেয়ার সময় তেল সকলেই দেন। তবে সেই তেল যদি গরম দেয়া হয়, তা হলে লুচি ভাল ফোলে। তাই ময়দা মাখার সময় তেল সামান্য গরম করে দেয়াই ভাল।
লুচি বানানোর সময় হাতে সামান্য সময় রাখতে হবে। আটা বা ময়দা মেখে সঙ্গে সঙ্গে লুচি বানিয়ে ফেলবেন না। আটা বা ময়দার মণ্ডটি তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট সাদা মসলিন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। তারপরেই ভাজুন। ফুলকো হবে লুচি।
লুচি ভাজার সময় তেল ভাল করে গরম না হলে, কিন্তু লুচি ফোলে না। তাই তেলের গরম হয়েছে কি না, তা যাচাই করে তবে লুচি ভাজুন।