আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আবারো উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর

আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর। অঞ্চলটিতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সন্ত্রাসী হামলা। শনিবার বিকেলে কাশ্মীরের সোপর শহরের আরামপোরায় টহল দেওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এতে নিহত হয়েছে অন্তত দুই পুলিশ। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মারা যায় দুই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয় আরো তিনজন। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে কয়েক শ' মানুষ।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেছেন, হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যও। সন্ত্রাসীদের খোঁজে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী।

পরে কাশ্মীরের সোপর শহরে মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল করে স্থানীয়রা। পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ জনগণ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অস্ত্রধারারীরা পালিয়ে গেলেও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় পুলিশ। এতে কয়েকজন হতাহত হয়। নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যার সমালোচনা করে তারা।

স্থানীয় কয়েকজন জানায়, আমরা এক সঙ্গে রাস্তার পাশে বসে চা পান করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে গুলি শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় একজন। পরে আরেকজন দৌঁড়ে বাঁচার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ ছাড়াই এ ধরনের হামলার অবশ্যই নিন্দা জানাতে হবে। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করছি।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করে নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনীতিবিদদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। এর আগে গেল সপ্তাহে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এক বিজেপি নেতা।

কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে ১৯৮৯ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহী করছে অঞ্চলটির বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। এদের দমনে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে থাকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করে থাকে ভারত। তবে বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে পাকিস্তান।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন