আর্কাইভ থেকে জাতীয়

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। এ দেশের মানুষ বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে বলেই দেশের জন্য কাজ করতে পারছি। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভোট বৃথা যায়নি। ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এ দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশীল দেশে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডিত। তার ছেলে তারেক রহমান দেশের অর্থ পাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। চোরা কারবারি করে ধরা খেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ দেশকে মানি লন্ডারিং, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এবং লুটপাট ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। তারা ৩ হাজার মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার দেশবাসীকে কিছুই দেয়নি। তারা শুধু লুটেপুটে খেয়েছে । দেশবাসী যা কিছু পেয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট আমাদের শান্তি র‌্যালিতে দিনেদুপুরে গ্রেনেড হামলা করে তারেক-খালেদা জিয়া গং। যুদ্ধের ময়দানের গ্রেনেড আমাদের ওপর ছোড়া হয়েছিল। আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী মারা যান। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই-আত্মীয়-স্বজন হারিয়ে আমি রিক্ত, নিঃস্ব। কিন্তু যে বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা প্রাণ দিয়ে গেছেন, তাদের জন্য কাজ করব। এদেশের মানুষের মাঝেই খুঁজে নেব প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির জনকের কন্যা। যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি আপনাদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আমার।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, কক্সবাজার একটি সম্ভাবনাময় জায়গা। কিন্তু কোনো সরকার এখানকার উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই এখানকার উন্নয়নে মনোযোগ দেয়। এ সময় তিনি কক্সবাজারে উদ্বোধন করা ২৯টি এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা চারটি প্রকল্পের তালিকা পাঠ করে শোনান।

বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার ও মহেশখালীতে আরও দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠারও প্রতিশ্রুতি দেন।

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকদের জায়গা দেয়ায় সরকারপ্রধান কক্সবাজারবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করলেও তাদের নিজ দেশে পাঠানোই হলো স্থায়ী সমাধান। এজন্য সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় কক্সবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। আগামী নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় সবাইকে হাত উঠিয়ে ভোট দেয়ার ব্যাপারে ওয়াদা নেন। সবার কাছে দোয়া চেয়ে এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন জনসভার প্রধান অতিথি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন