আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তিন দশকে প্রথম লোকসানের মুখে এমিরেটস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক বছরের বেশি সময় আগে আকাশপথে দেওয়া হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। কিছু কিছু দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কমেছে যাত্রীর সংখ্যা। অনেক দেশে এখনো রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী এই নিষেধাজ্ঞা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান সংস্থাগুলো। এর সব থেকে বড় উদাহরণ মধ্যপ্রাচ্যের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারওয়েজ। প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথম লোকসানের মুখে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম এয়ারলাইন্স এমিরেটস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গেল মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এমিরেটসের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন দিরহাম বা প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটির ক্ষতির আঘাত সামলাতে সরকারের কাছ থেকে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন দিরহাম মূলধন বিনিয়োগ পেয়েছে। এর সহযোগী সংস্থা ডিনাটা পেয়েছে প্রায় ৮শ’ মিলিয়ন দিরহাম।

এমিরেটস এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী শেখ আহমদ বিন সৈয়দ আল মাকতুম জানিয়েছেন, করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চে বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ নানা দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এমিরেটস ও ডিনাটার চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যায়। গেল বছর এমিরেটসের লাভ কমে গেলেও উপার্জন করেছিল ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এক বছরে নেট লোকসানের পরিমাণ ৫৫০ কোটি ডলার। এতে সংস্থাটির আয় কমেছে প্রায় ৬৬ শতাংশ বা ৩০ দশমিক ৯ বিলিয়ন দিরহাম।

আগের অর্থবছরে যেখানে এমিরেটস ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছিল সেখানে গেল অর্থবছরে ক্ষতি হয়েছে ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন দিরহাম। গেল এক বছরে তাদের রাজস্ব আয় হয়েছে ৮৪০ কোটি ডলার কম।

এমিরেটস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেল এক বছরে তাদের মোট যাত্রী এবং কার্গো ক্যাপাসিটি কমেছে শতকরা ৫৮ ভাগ।

বিমান সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এবারই প্রথম লোকসানের মুখ দেখল এমিরেটস এয়ারলাইন্স।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন