আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

দুইজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় মাধবদী পৌর মেয়রসহ ১১ জনের নামে মামলা

নরসিংদীর মাধবদীতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে মাধবদী থানায় এই মামলা করে গুলিবিদ্ধ সাবেক কমিশনার মোঃ জাকারিয়ার ভাই মোঃ আনোয়ার।

এর আগে গেলো ১৬ জুন রাতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: জাকারিয়া। ও নুরালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম। পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিকের নেতৃত্বে তার অনুসারিরা গুলি ছোড়ে বলে দাবি আহতদের।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- বিরামপুর এলাকার নান্নু মিয়ার পুত্র আব্দুল আহাদ, কোতায়ালীর চর এলাকার মোঃ মোজাম্মেল, টাটাপাড়া এলাকার রিপন মিয়ার পুত্র মাসুদ রানা জুনিয়র, ছোট মাধবদী এলাকার মিজানুর রহমানের পুত্র শাহিন মিয়া, ভগিরথপুর এলাকার নান্নু ভূইয়ার পুত্র আতাউর ভূইয়া, আদনান হোসেন, সাকিব, মোঃ মনিরুজ্জামান ওরফে নাতিমনির, নূর মোহাম্মদ ও সেন্টু শীল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার্কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে গেলো বুধবার (১৬ জুন)  বিকেলে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা হচ্ছিল। শহরের রমনী কমিউনিটি সেন্টারের ঐ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মিটিং চলাকালে মাধবদী পৌর মেয়র মোশারাফ হোসেন মানিক ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে মিটিং না করতে নিষেধ ও গালিগালাজ করে চলে যান। ঐ মিটিং শেষে রাত ৮ টার দিকে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার জাকারিয়াসহ ১০-১৫ জন নেতাকর্মী পৌরসভার মোড় হয়ে ফিরছিলেন। এসময় হঠাৎ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে দ্ইুজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের নরসিংদীর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাতেই।

মামলার বাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক নিজেই গুলি করেছে। এজন্য তাকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম দিয়েছি মামলায়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪০ জনের নাম রয়েছে। তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুনতেছি তারাও একটা অভিযোগ করেছে। তবে সেটার সত্যতা নেই ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে মামলা হয়েছে। দুইপক্ষ্যই মামলা করেছে। এক পক্ষের মামলায় মধাবদীর পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন