আর্কাইভ থেকে বিএনপি

জনগণ এই সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে : গয়েশ্বর

বিএনপি আন্দোলন না করলেও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে। বিদেশিরা আর কত স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে, জনগণ এই সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে। জনগণের স্যাংশন অতিক্রম করা সম্ভব না। বললেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সরকার পতন আন্দোলনের ছিল না। ৭ ডিসেম্বর যা ঘটেছে, তা একাত্তরের ২৬ মার্চের সঙ্গে তুলনীয়। পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। এই ছত্রভঙ্গ চিরস্থায়ী না। ছত্রভঙ্গ থেকেই সংগঠিত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।

তিনি বলেন,বিদেশিদের কাছে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। জঙ্গিবাদের নাটক আর চলছে না। বিদেশিরা বুঝে গেছে, এই সরকার দিয়ে চলে না। বিদেশিরা আর কত স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে, জনগণ এই সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে। জনগণের স্যাংশন অতিক্রম করা সম্ভব না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আয় নেই, খরচ আছে। সরকার চারদিক থেকে জনগণকে নিষ্পেষণের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমান সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু নেতা ও দল বাদে সবার একটাই দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচন।

রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর

গয়েশ্বর বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ক্ষমা চান। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলেন। জনগণ ক্ষমা করলেও করতে পারে।’

গয়েশ্বর অভিযোগ করে বলেন, রিজার্ভের টাকা দলীয় লোকজনকে দিয়ে পাচার করানো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন