আর্কাইভ থেকে রেসিপি

বাঙালির সন্ধ্যায় মুড়ির মুখরোচক ৩ রেসিপি

বিকেল বা সন্ধ্যায় একটু মুখরোচক নাস্তা খেতে বেশ ভালই লাগে। এই সময়ে খাওয়ার যে ইচ্ছা জাগে, সেটা আসলে যতখানি না খিদে মেটানোর, তার চেয়ে বেশি রসনাতৃপ্তির। তাই তখন হাতের সামনে নিত্যনতুন খাবার পেলে মন্দ লাগে না! আর বাঙালির সন্ধ্যায় নাস্তায় মুড়ি-চপ আর না হয় মুড়ি মাখা থাকেই।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই মুড়ি মাখানো না খেয়ে মুড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখোরোচক নাস্তা! রইল এমন তিনটি রেসিপির হদিস-

মুড়ির পাকোড়া

একটি পাত্রে মুড়ি, পেঁয়াজ কুচি, আলু সেদ্ধ, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ, গোলমরিচ, বেসন, চালের গুঁড়ো পরিমাণ মতো নিয়ে অল্প মাত্রায় পানি দিয়ে মিশ্রণটি মাখতে থাকুন। এবার গোল গোল পাকোড়ার আকারে গড়ে গরম তেলে ভেজে তুলে নিন। উপর থেকে চাটমশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করন গরমাগরম মুড়ির পাকোড়া।

মুড়ি

মুড়ির চিল্লা

সমপরিমাণ সুজি ও মুড়ির গুঁড়ো নিয়ে তাতে একে একে দই, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, গাজর কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ননস্টিক তাওয়ায় সামান্য মাখন লাগিয়ে প্যানকেকের মতো করে সেঁকে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মুড়ির চিল্লা।

মুড়ি

মুড়ির বার

কড়াইতে ঢেলা গুড় নিয়ে তাতে খানিকটা পানি মিশিয়ে ভাল করে জাল দিয়ে দিন। এবার একে একে তাতে বাদাম কুচি, কাঠবাদাম কুচি, কিশমিশ কুচি আর মুড়ি দিয়ে মিনিট দুয়েক নাড়াচাড়া করে পাক দিয়ে নিন। এবার একটি কানাউঁচু থালায় ভাল করে ঘি লাগিয়ে মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন। গরম থাকা অবস্থাতেই একটি ছুরি দিয়ে বারের আকারের কাটার চিহ্ন দিয়ে রাখুন, এতে পরে কাটতে সুবিধা হবে। এরপর মিশ্রণটি ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে গেলে সেই চিহ্ন ধরে আয়তকার আকৃতিতে কেটে কেটে পরিবেশন করুন মুচমুচে স্ন্যাকস বার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন