মেক্সিকোর সীমান্তে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ট্রাম্পের তৈরি দেয়াল
অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর লক্ষ্যে মেক্সিকো সীমান্তে তৈরি অস্থায়ী দেওয়াল সরিয়ে ফেলতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সরকার। এই দেওয়াল তৈরি নিয়ে মামলা ও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নরের নির্দেশে দেওয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এই দেওয়াল অভিবাসীদের ঢেউকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে বাধা দেবে। তবে এই দেওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ দায়েরকারীরা এই যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মূলত অভিবাসীদের ঠেকাতে অস্থায়ী প্রাচীর ফেডারেল ভূমিতে বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ পরে অ্যারিজোনা মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে রাখা শিপিং কন্টেইনারগুলোর একটি লাইন সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৯০০টিরও বেশি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি এই দেওয়াল নির্মাণ করতে সরকারের অন্তত আট কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
বিবিসির তথ্য থেকে জানা যায়, গভর্নর ডগ ডুসি এ বছরের শুরুতে করোনাডো ন্যাশনাল ফরেস্টে অস্থায়ী ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন সরকার গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করে, সাত-কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা ভূমিতে ঢুকে পড়েছে।
তবে বুধবার ফেডারেল সরকারের সাথে এক চুক্তির পর ডুসির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছে, ‘আগে নির্মাণ করা সব শিপিং কনটেইনার এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, উপকরণ, যানবাহন ও অন্যান্য জিনিসগুলো জানুয়ারির প্রথম দিকে সরিয়ে ফেলা হবে।’
অবশ্য ওই এলাকায় কাজ করে পরিবেশ-রক্ষা গোষ্ঠী সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি এই ধরনের দেয়ালের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করেছিল।
উল্লেখ্য, অ্যারিজোনার সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোর ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে এই সীমান্তের এক বিশাল অংশে ওই দেওয়াল তৈরি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতির মূল বিষয়।