আর্কাইভ থেকে ফুটবল

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আটকে দিলো হাঙ্গেরি

বল নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্সের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। প্রথমার্ধে ৭০ ভাগ বল নিয়ন্ত্রণ করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। স্বাভাবিকভাবে গোলের সুযোগও তৈরি করেছে। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করতে পারেনি। বরং প্রথমার্ধের শেষ সময়ে হাঙ্গেরি গোল করে ফ্রান্সকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অবশ্য পুরো পয়েন্ট হারাতে হয়নি, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের গোলের সুবাদে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে।

শনিবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এফ’ গ্রুপে ফ্রান্স-হাঙ্গেরি ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। দুই ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের পয়েন্ট চার। অন্যদিকে সমান ম্যাচে হাঙ্গেরির পয়েন্ট ১।

সিংহভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ থাকায় প্রথমার্ধে ফ্রান্স একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিলিয়ান এমবাপ্পে, করিম বেনজেমা ও গ্রিজম্যানের সামনে সুযোগ এসেছিল গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সুযোগগুলো তারা কাজে লাগাতে পারেনি। বরং আতিলা ফিওলা কাজের কাজটি করেছেন। পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে নিয়েছেন।

দারুণ দক্ষতায় ফিওলা ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন। অ্যাডাম নাগির কাছে বল পেয়ে ফ্রান্সের গোলপোস্টের দিক এগিয়ে যান। এ সময় দেয়া নেয়া করে রোনালন্ড সালাইয়ের কাছ থেকে আবার বল পেয়ে বাঁকানো শটে গোলরক্ষক হুগো লরিসকে বোকা বানান। তার গোলের সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬৭ হাজার দর্শক আনন্দে মেতে ওঠেন।

এক গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে দ্বিতীয়ার্ধে হাঙ্গেরি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। কিন্তু ৬৬ মিনিটে একটা ভুল করে বসে। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের এ গোলে হাঙ্গেরির গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। কিছু সময় পর এমবাপ্পের সামনে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বল বাইরে মেরে তিনি সুযোগ নষ্ট করেন।

ফ্রান্সের কাছ থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পেরে দারুণ খুশি সালাই। তিনি বলেন, ‘ম্যাচে আমরা আমাদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি। আমরা ভালো খেলেছি। সুতরাং আমরা গর্বিত। আমরা শেষ ১০ মিনিটও ভালো খেলেছি। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা পয়েন্ট পেয়েছি।’

অন্যদিকে পয়েন্ট হারিয়ে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যাম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো খেলেছি। বল নিয়ন্ত্রণ করেছি, কিন্তু গোল পায়নি। এটা হতাশাজনক।’

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন