আর্কাইভ থেকে এশিয়া

২০২০ সালে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত ছিল

গেল বছর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির একটি গোপন নথির উদ্বৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স জানায়, স্বতন্ত্র নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকদের তৈরি করা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ করেছে পিয়ংইয়ং। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ২০২০ সালেও কর্মসূচি চালিয়ে গেছে কিম জং-উন প্রশাসন। সাইবার চুরির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩০ কোটি মার্কিন ডলার এই খাতে ব্যয় করেছে তারা।

স্বাধীন নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বিদেশ থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। বিভাজনীয় পণ্য উৎপাদন, পরমাণু কেন্দ্র চালু রাখা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছে পিয়ংইয়ং। এসব প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি ও পণ্য বিদেশ থেকে সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে তারা।

পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিজে থেকেও উত্তর কোরিয়ার ওপর আরো অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সামরিক কুচকাওয়াজগুলোতে স্বল্প ও মধ্যম পাল্লা, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার কাছে থাকা পারমাণবিক ওয়্যারহেড দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করা যাবে বলে ধারণা করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে মিত্রদের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে চাপ অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যত সম্ভাব্য কূটনীতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

২০২০ সালে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে এই সময়ে পারমাণবিক ওয়্যারহেডের পরীক্ষা ও উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি বহুগুণ বাড়ানোর প্রত্যয় জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং-উন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন