আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে এ বিষয়ে দিনব্যাপী গণশুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের শুল্ক প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়।

এর আগে, সকালে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শুরু হয়। কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামীকালও। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এবার যুক্ত হচ্ছে বিদ্যুতের বাড়তি দাম। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২০ থেকে ২৩ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তবে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ শে নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ায় বিইআরসি। এরপরই খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিতরণ কোম্পানিগুলো।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এবং নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) বিদ্যুতের খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণের আবেদন করেছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পিডিবি প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ টাকা ৩ পয়সা করার আবেদন করেছে। দাম বাড়ানো না হলে চলতি অর্থ বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি ২০২৩-জুন ২০২৩) ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা লোকসান হবে। কোম্পানির পক্ষ থেকে ডিমান্ড চার্জ ও নিরাপত্তা জামানত ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন