‘জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি, চেষ্টা করে যাবো’
‘কমিশনের প্রতি অনুরোধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখবেন আমরা যেন সবকিছু ঠিক থাকলে প্রার্থিতা যেন ফিরিয়ে দেয়া হয়। ষড়যন্ত্রের কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। ইসি থেকে বাতিল হলে হাইকোর্টে যাবো।’ বললেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হিরো আলম জানিয়েছেন, আপিল গ্রহণের পর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাকে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, মারামারি করে তো আর প্রার্থিতা পাওয়া যাবে না। আমরা চেষ্টা করবো। না পারলে কিছু করার নেই। জীবনযুদ্ধে (নির্বাচনে) লড়াই করতে নেমেছি। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করলে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন আলোচিত হিরো আলম।
তিনি বলেন, প্রতিটা মানুষের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। এবারও করার টার্গেট আছে। যে মানুষ বলেছে একবার না পারিলে দেখ শত বার। এমন কোনো বয়স হয়নি যে ৫০ বছর বয়স হয়ে গেছে, আমি নির্বাচন করতে পারবো না। যেহেতু জীবনযুদ্ধে (নির্বাচনে) লড়াইয়ে নেমেছি দেখি শেষ পর্যন্ত কতটা করতে পারি। কাগজপত্র সহকারে সব (আবেদন) জমা দিয়েছি। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে বুঝতে পারবো, তারা সুষ্ঠু বিচার করল না অবিচার করলেন।
হিরো আলম আরও বলেন, আমি পরিপূর্ণভাবে সব জমা দিয়েছি। ২০১৮ সালে যখন ভোট করি তখনও একই কারণে বাতিল করেছিল। এবার সে ভুল জানা মতে করিনি। একটা ভুল তারা ধরেছেন যে একটা ভোটারের নাকি নাম্বরাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নামে আমি কারো নামই জমা দিইনি উনারা যে ভুলটা ধরেছেন। আরেকটা ভোটার লিস্টে নামই পাওয়া যাচ্ছে না বলেছেন, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। এই দুইটা বিষয়টি আমি কমিশনে জমা দিয়েছি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগেরবারও বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হলে হাইকোর্ট থেকে পরে প্রার্থিতা পেয়েছিলাম। সে বারও ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে এত কিছু করার পরও বাতিল করে দিল। তারপরও আমি হাল ছাড়লাম না। শেষ পর্যন্ত আইনের প্রতি বিশ্বাস ছিল। পরে হাইকোর্ট দিলেন। সেই নির্বাচনে মারামারির কারণে দুপুরে ভোট বর্জন করি।
হিরো আলম বলেন, ওখানে বগুড়া সদর ও কাহালুর দুইটা আসনেই শুধু আমার না মোট ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। বেশি ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। সবাই এই ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল। আমার নামে কোনো মামলানেই বলেন, ঋণখেলাপি নেই বলেন, তারপর আইনের অন্য কোনো দোষ কিন্তু ধরতে পারেনি। কোনটা দোষ কিন্তু খোঁজে বের করতে পারেনি। বের করছে কী ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে ভুল।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র যদি নাই হবে তাহলে একটা আসনে তো পেতাম আমি। দুইটা আসন থেকে কেন বাতিল করা হবে। যেকোনো কারণ থাকতে পারে। কারা ষড়যন্ত্র করছেন এই মুহূর্তে আমরা বলবো না। ভোটের মাঠে যাবো তারপর আপনারাই বলতে পারবেন। কেউ যদি বাধা দেয়, এখন সব মানুষের হাতের মুঠোয়। সবাই জানতে পারবেন। আমরাও পরবর্তী সময়ে সব তুলে ধরবো।
নিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে এমন তথ্যের বিষয় জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে তো বাইরে রাখবে না। আমি বাইরে কেন? এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট, গুজব। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য কিছু লোক এসব অপপ্রচার চালাছেন।
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১০০ পারসেন্ট নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমি জয়লাভ করবো। ১৮ সালের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হয়নি। আমার এলাকায় আমি খুঁজে পায়নি। অন্য কোথাও হয়েছে কি না আমি জানি না আপনারা বলতে পারবেন।