আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে

কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বিমান চলাচল। জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।

এটি সিস্টেমের সাথে একটি সমস্যা অনুসরণ করে যা পাইলটদের ফ্লাইট রুটে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে। খবর বিবিসি।

এফএএ বলছে, বিমান চলাচলে সমস্যার কারণ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউ জার্সির নেওয়ার্ক বিমানবন্দর, এবং হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটগুলি অন্যদের থেকে কিছুটা এগিয়ে সেই এলাকায় বিমান যানজটের কারণে পুনরায় শুরু হয়েছে৷

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকা ফ্লাইটের ব্যাকলগ মেটাতে কর্তৃপক্ষ একটি গ্রাউন্ড বিলম্ব প্রোগ্রাম আরোপ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে, এবং হোয়াইট হাউস বলেছে যে এই মুহুর্তে সাইবার আক্রমণের কোনো প্রমাণ নেই।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এফএএ আশা করছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা এটির কারণ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবে এবং আমরা সেই সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাব।

একটি টুইট বার্তায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন যে রাষ্ট্রপতি ‘পূর্ণ তদন্তের’ আহ্বান জানিয়েছেন।

এফএএ বলেছে যে সমস্যার উৎস ছিল তার নোটিশ টু এয়ার মিশন সিস্টেম।

প্রধান মার্কিন বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতি নিবীড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমেরিকান এয়ারলাইনস, যা উত্তর আমেরিকায় বার্ষিক সবচেয়ে বেশি যাত্রী বহন করে, বলেছে যে তারা গ্রাহকদের বিঘ্ন কমাতে এফএএর সাথে কাজ করছে।

প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশ জুড়ে আচমকাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বিমান পরিসেবা। সমস্ত বিমানচালক এবং বিমানকর্মীদের ওই ত্রুটি সম্পর্কে অবহিত করে নামিয়ে আনা হয় মাঝ আকাশে থাকা বিমানগুলিকে। টুইটারে এফএএ লেখে, ‘বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে চলছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশ জুড়ে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে খবর জানানো হবে।’

মেরামতির কাজ চলাকালীন এফএএ জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হওয়া শুরু করবে। সেই মতোই পরিষেবা চালু করা গিয়েছে বলে এফএএ সূত্রে খবর। তবে ঠিক কী কারণে প্রযুক্তিগত গোলযোগ দেখা দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভ্রাটের জেরে ৪,৬০০টির বেশি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান দেরিতে চলছে। বাতিল হয়েছে ৮০০টি বিমান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন