দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তির অনুসন্ধানে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয় করা এই বাংলাদেশি ব্যক্তিরা কারা তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে।এ বিষয়ে শুনানি শেষে আগামী রবিবার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। বুধবার তিনি ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদনটি দায়ের করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশির মালিকানায় থাকা মোট ৯৭২টি প্রপার্টির কাগজে-কলমে মূল্য হতে পারে সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার মধ্যেও দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে। আরব আমিরাতের স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি প্রপার্টি কিনেছেন। এমনকি নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর ধনী নাগরিকদেরও তারা পেছনে ফেলে দিয়েছে।