আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

ভালোবাসা আড়ালে, সম্মুখে ঝগড়ুটে জুটি

হৃদয়-রুমা, যাদেরকে সবাই সারাক্ষণ ঝগড়া করতে দেখছে। অনেকটা সেই ‘চালতে চালতে’ মুভির শাহরুখ খান আর রানি মুখার্জির মতো। যারা প্রেমের আড়ালে ঝগড়া করছেন সবসময়। আপনার আমার চেনাজানা অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাই আছেন যারা হৃদয়-রুমার মত একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন প্রতি নিয়ত। কিন্তু চোখে দেখে তা বোঝা যাবে না মোটেও। কারণ, তারা তো ছোটখাটো ব্যাপারেও নিজেদের মধ্যে সবসময় ঝগড়া করছেন। একে অপরকে কটূ কথা বলা বা রাগ করে কথা বন্ধ করে দেয়া এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

তবে দু’জন সঙ্গীই যদি মেজাজি হন, হাইপার স্বভাবের হন, তাহলে সেই সম্পর্কে ঝগড়াঝাটি দূরে সরিয়ে রাখা দুষ্কর। সম্পর্কে মাঝেমধ্যে মতবিরোধ হতেই পারে। তবে কথায় কথায় ঝগড়া করলে বা অভিমান করলে সে সম্পর্ক আদৌ কতটা টেকসই তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অনেকেই ভাবেন, নিস্তরঙ্গ সম্পর্ক মানেই একটা সময়ের পরে একঘেয়েমি এসে যেতে বাধ্য। তাই, মাঝেমধ্যে একটু আধটু মান-অভিমানের পালা যথেষ্ট মুক্তিযুক্ত। ঝগড়ার পরে এদের অনেকেরই মিটমাট হয়ে যায়। সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখতে এই প্যাশনটাই তো প্রয়োজন। তবে মাথা গরম হলে এদের আশেপাশের পরিবেশের ব্যাপারে কোনও খেয়ালই থাকে না।

বাড়িতে হোক বা রাস্তায়, বাসে অটোতে বা সিনেমা হলে হঠাৎ করেই বাগড়া শুরু করলে আশেপাশের লোকজনের পক্ষে সেটা যথেষ্ট সমস্যাজনক। তাই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করলেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।

আড়ালে

মাত্রাছাড়া ঝগড়া কিন্তু সুস্থ সম্পর্কের পরিচায়ক নয় মোটেও। এরকম কাপলরা তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ সঠিকভাবে করতে পারেন না। স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে ছোটখাটো কারণে উত্তেজিত হয়ে পড়লে সন্তানদের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। বাড়িতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। আসলে, সম্পর্কের রসায়ন ধরে রাখার দায়িত্ব আপনাদেরই। অনেকেই ভাবেন একটু আধটু মতবিরোধ হলে বন্ডিং আরও দৃঢ় হয়। তবে খেয়াল রাখবেন, মতবিরোধ এমন পর্যায়ে যেন না পৌঁছে যায় যেখানে সম্পর্কে স্ট্রেস, টেনশন নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়।

বাড়াবাড়ি রকমের অবস্থায় দু'জন সঙ্গীরই প্রয়োজন নিজেদের বিহেভিয়ারাল ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা। যদি কেউ ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক অশান্তির শিকার হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে। আবার কমিউনিকেশন গ্যাপের জন্য ও একে অপরকে বুঝতে অসুবিধে হয়। তার ফলেও সম্পর্কে ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে। একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। যত বেশি কমিউনিকেট করবেন তত সম্পর্কে দূরত্ব কমে আসবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন