চুলের যত্নে একটু কসরত...
ঘন, কালো চুল- সে তো প্রতিটি মেয়েরই কাম্য। আর এটি পেতে হলে একটু কসরত তো করতেই হবে। চুলের যত্ন না নিলে, অবহেলায় চুল নষ্ট হতে থাকে। চুল পড়ে যায়, দেখা দেয় খুশকির সমস্যা। এছাড়াও চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক।
তবে এমনটাও নয় যে, সুন্দর চুল পেতে গেলে সারাদিন ধরে এটা নিয়েই পড়ে থাকতে হবে। সপ্তাহে দু-তিন দিন চুলের পিছনে সময় দিলেই যথেষ্ট। তেল মাখুন আর সঠিকভাবে শ্যাম্পু করুন।
আমরা শ্যাম্পু তো করি, কিন্তু সঠিক উপায় সবার জানা নেই। নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিংয়ের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ চুলের রহস্য। শ্যাম্পু করার আগে এবং পরে এই কয়েকটি নিয়ম মানুন। দেখবেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে চুলের চেহারা বদলে গিয়েছে। চুলে স্টিম নিন
মুখে যেভাবে স্টিম নিলে সমস্ত ময়লা-তেল বেরিয়ে আসে, একই কাজ হয় চুলের ক্ষেত্রেও। চুলে স্টিম নিলে স্ক্যাল্পে জমে থাকা সেবাম, খুশকি, ময়লা ইত্যাদি দূর হয়ে যায়। বাড়িতে স্টিমার সবার থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংরে নিন। এবার ওই তোয়ালে চুলে জড়িয়ে রাখুন ২০ মিনিট। স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন
স্টিম নেয়ার পর পরই শ্যাম্পু করবেন না। স্টিম নেয়ার পর হালকা হাতে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। চুলের গোড়ায় আঙুল দিয়ে কয়েক মিনিট মালিশ করুন। এতে স্টিম কারণে যে ময়লা, খুশকি আলগা হয়ে গিয়েছিল সেগুলো পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু করুন
শীতকালে বলে গরম পানি ব্যবহার করছেন? কিন্তু চুলের জন্য গরম পানি ক্ষতিকারক। এতে চুলের আর্দ্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করুন। প্রয়োজন কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। যে ভাবে শ্যাম্পু করবেন
শুধু চুলে শ্যাম্পু দিয়ে চলবেন না। শ্যাম্পু দিয়ে স্ক্যাল্পেও। স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। খুব বেশি চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করবেন না। এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা সমস্ত ময়লা দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না
রোজ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করুন। বেশিক্ষণ ধরে শ্যাম্পু করবেন না। চুল ভেজানো ১৫ মিনিটের মধ্যেই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার করে নিন। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া আলগা হয়। এতে চুল ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া কেমিক্যাল ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের যত্নে ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।