আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

পদত্যাগ করবেন তা প্রায় নিশ্চিত ছিল। তবে কখন করেন তা-ই দেখার ছিল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তীর্থ সিং রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী পদে চার মাসও থাকলেন না তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনার মধ্যে শুক্রবার রাতে রাজভবনে যান তীর্থ সিং রাওয়াত। সেখানে রাজ্য গভর্নর বেবি রানি মৌর্যের হাতে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেন নিজ দল বিজেপি'র সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছেও। 

পদত্যাগের পর তীর্থ বলেছেন, করোনার কারণে এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। সাংবিধানিক সংকট হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে নৈতিক কারণেই ইস্তফা দিয়েছি।

আজ শনিবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে বৈঠকে বসবে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বিজেপির সদস্যরা। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় বিজেপির সদরদপ্তরে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করা হবে। এ লক্ষ্যে নরেন্দ্র সিং তোমারকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হচ্ছে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক বিজেপি নেতা বলেছেন, পর্যটনমন্ত্রী সতপাল মহারাজ, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াতসহ অন্তত চারজনের নাম বিবেচনা করছে হাইকমান্ড। সতপাল মহারাজ কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছেন। দ্বিতীয়জন ধন সিং রাওয়াত আরএসএস করে তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, আগামী বছর মার্চে উত্তরাখণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক মাস বাকী। তাই, বিজেপির হাতে যে ৫৬ জন বিধায়ক আছে তাদের মধ্য থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। কারণ, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ কোনো উপনির্বাচনের পক্ষে নয় নির্বাচন কমিশন। তীর্থের ক্ষেত্রে একই সমস্যা হয়েছিল। ত্রিবেন্দ্রের পরিবর্তে পাউরি গারোয়ালের সংসদ সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল বিজেপি। নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হতো।

গেল মার্চে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তীর্থ সিং রাওয়াত। বিধানসভার সদস্য না হওয়ায় তাকে এ পদে বহাল থাকতে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে যেকোন একটি আসনে জয়ী হতে হতো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে উপনির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন