ঝালকাঠিতে নতুন সেপটি ট্যাংকে নেমে দুইজনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে নির্মানাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে রাজমিস্ত্রীসহ দুই জন মারা গেছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় রাজমিস্ত্রী আসাদুল ও প্রতিবেশী যুবক মজনুর মৃত্যু হয়েছে, গুরতর আহত হয়েছে আরেক প্রতিবেশী যুবক শুভ।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, মহিষকান্দি গ্রামের মিরাজ খানের নির্মানাধীন বাড়ির নতুন সেপটি ট্যাংকির সেন্টারিং রাজমিস্ত্রী আসাদুল খুলতে যান। ট্যাংকির মূখ খুলে ভেতরে ঢুকে সেন্টারিং এর কাঠ খুলতে গেলে বিষক্ত গ্যাসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে বাড়ির মালিকের ভাই পলাশ খান প্রতিবেশী যুবক মজনুকে ডেকে নিয়ে আসেন রাজমিস্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য। মজনু মিস্ত্রীকে উদ্ধার করতে ট্যাংকির ভেতরে ঢুকলে তিনিও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় অন্য প্রতিবেশী যুবক শুভ দুই জনকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে তারও একই অবস্থা হয়।
পরে তিনজনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী জেলা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মজনু ও আসাদুলের মৃত্যু হয়। শুভকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
রাজমিস্ত্রী আসাদুলের (৩০) বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। মজনু (২৫) মহিষকান্দি গ্রামের শাহাদতের ছেলে ও শুভ খান (২২) একই গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, সেফটি ট্যাংকি কাজ করতে গিয়ে বিষক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।