আর্কাইভ থেকে জনদুর্ভোগ

৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক রেল যোগাযোগ

মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকায় আখাউড়া থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যূত হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হলো।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুাটিার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা রেলস্টেশনের অদূরে হোসেনপুর নামক স্থানে মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

কুলাউড়া ষ্টেশন মাষ্টার মুহিব উদ্দিন আহমদ জানান, বেলা ২ ঘটিকার সময় আখাউড়া থেকে সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেন ভাটেরা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় সিলেটের সাথে সারাদেশের দীর্ঘ পাঁচ পাঁচঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টায় সারা দেশের সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের সিলেট-আখাউড়া সেকশনে একের পর এক ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে এ রুটের বেহাল দশার চিত্র। এতেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না এ রেল রুটের। চলতি বছরেই সংঘটিত হয়েছে চারটি লাইনচ্যুতের ঘটনা।

সর্বশেষ দশদিনের মাথায় আবারও তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে শনিবার। এতে ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। রেললাইনে স্লিপারের লুজ কানেকশনের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। ফলে কমছে সিলেট আখাউড়া রেলপথে যাত্রী সংখ্যা। অভিযোগও রয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রেলওয়ের বিধান অনুযায়ী মোটর-ট্রলিতে করে লাইন পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু কুলাউড়া স্টেশন থেকে সিলেট অভিমুখে বা শ্রীমঙ্গল স্টেশন অভিমুখে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা নেই বললেই চলে। ফলে লোহা ব্যবসায়ীরা রেললাইনে স্পাইক খোলার বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে টাই প্লাট স্পাই, ক্লিপস ও ফিসপ্লেট খুলে নিয়ে যায়। খাঁটি লোহার এসব সরঞ্জামের চড়া দাম থাকায় প্রতিনিয়ত তা চুরি হচ্ছে। রেলওয়ের টহল ও মোটরট্রলি না থাকায় নির্বিঘ্নে এসব চুরি করছে একটি অসাধু চক্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুলাউড়া স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এ রেলপথের যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়াতে ট্রেন চলাচলের সময় ক্লিপ-হুক স্লিপারও রেললাইন থেকে খুলে উড়ে যায়। কাঠের স্লিপার পড়ে যাওয়াতে ট্রেনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক স্লিপার বেঁকে যায়। এতে লাইন দুর্বল হয়ে পড়ে।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন