মুড অফ!
“মন কোন অগোচরে মন সে তো নিয়ম ভেঙ্গে মন ঠিকই পালিয়ে যাবে।”
শারীরিক বা মানসিক যে কোনও কারণেই আমাদের মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। মন খারাপের সঙ্গে মেজাজও যায় বিগড়ে। আগে যেটা ছিল তিরিক্ষি মেজাজ, সেটাই এখনকার পরিভাষায় মুড অফ। মাঝে মাঝে আমাদের মেজাজ বিগড়ে যেতেই পারে। কিন্তু সেটাই যদি স্বভাব হয়ে যায়, তাহলে সমস্যা।
এক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্য নিতেই পারেন। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু টিপস মানলে মুড অফের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন অল্পতেই-
কষ্ট হলেও চেষ্টা করুন নির্ধারিত সময়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে। অন্তত ১৫ মিনিট হলেও। এই সময়টুকু ধ্যান করুন মনসংযোগের জন্য। ধীরে ধীরে সময়টা বাড়িয়ে তুলুন।
সারা দিনে অন্তত এক জনের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলুন। কথা বলতে না পারুন, কোনও জোক টেক্সট করতে পারেন। ব্যক্তিবিশেষে না হলেও হোয়াটসঅ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুদের গ্রুপে পাঠাতে পারেন হাসির কোনও চুটকি। দেখবেন, এতে নিজেরও ভাল লাগবে।
নিজের ভুল ত্রুটি দোষ নিয়ে সব সময় ভাবতে বসবেন না। এই পৃথিবীতে কেউ নিখুঁত নন। তাই নিজেকেও বেনিফিট অব ডাউট দিন মাঝে মাঝে। পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করুন। নিজের সঙ্গে কথা বললেও নেগেটিভ কথাবার্তা একদমই নয়।
কৃতজ্ঞ থাকুন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কৃতজ্ঞতা শব্দটা খুব ভারী মনে হলে ধন্যবাদ জানান। একটা ডায়রি মেইন্টেন করুন। সেখানে লিখুন কার প্রতি কোন কারণে আপনি কৃতজ্ঞ।
বাড়ি বা অফিসের বাইরে কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন। একা একাই হাঁটতে পারেন। দেখবেন উদ্বেগ কেটে গিয়ে মনমেজাজ হাল্কা লাগবে। পছন্দসই গান শুনুন। ফুরফুরে অনুভূতি আসবেই।
৫ মিনিটের জন্য হলেও ঘরবাড়ি বা অফিসের ডেস্ক গোছান। অন্তত পুরনো জিনিস বাতিল করুন। দেখবেন, এতে মনের উপর অযথা চেপে থাকা ভারও লাঘব হয়ে গিয়েছে।
যদি সারাদিন প্রাণবন্ত থাকতে চান, রাতে ভাল করে ঘুমোন। সারাদিন চনমনে থাকার জন্য কিন্তু আমাদের রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকার।