আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

ব্রিটেনে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও বিধিনিষেধ শিথিল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়লেও সোমবার থেকে মহামারি সংক্রান্ত প্রায় সব বিধিনিয়ম তুলে নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷ এর ফলে মাস্ক, সামাজিক দূরত্বের মতো কোনও নিয়মই আর কার্যকর করা হবে না৷ নাইটক্লাব বা অন্য কোনও জমায়েতে সর্বোচ্চ সংখ্যাও বেঁধে দেয়া হবে না৷ দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় ৫০ হাজার অতিক্রম করলেও ‘ফ্রিডম ডে’ পালিত হচ্ছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।

ব্রিটেনের এমন ‘বেপরোয়া’ সিদ্ধান্তের কারণে বিজ্ঞানী মহলের একাংশ ও বিরোধী দল সরকারের কড়া সমালোচনা করছে৷ লেবার পার্টির স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখপাত্র জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বিজ্ঞানীদের সংশয় উল্লেখ করে বলেন, এমন পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে৷ এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ করোনা টিকার দুটি ডোজ পাওয়া সত্ত্বেও করোনায় আক্রান্ত হবার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও ২৬ জুলাই পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকছেন।

ফলে করোনার ছোঁয়াচে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিপদ আবার নতুন করে স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ ব্রিটেনে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য সত্ত্বেও দৈনিক সংক্রমণের হার এক বা দুই লাখ পেরিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন৷ ইসরায়েল ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ বিধিনিয়ম শিথিল করার পরেও সংক্রমণের উচ্চ হারের কারণে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে বলে তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷

তবে ব্রিটিশ সরকার তাদের এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জনসন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এখনই করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম তুলে নেবার সিদ্ধান্ত জরুরি৷ হেমন্ত বা শীতকালে শীতল আবহাওয়ার কারণে ভাইরাস বাড়তি সুবিধা পাবে৷ তখন এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ চলতি সপ্তাহে স্কুলের ছুটি শুরু হচ্ছে বলে ধাক্কা সামলে ওঠা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন৷

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন