আর্কাইভ থেকে শিল্প

লবণজাতকরণের সাতদিন চলে গেলেও দেখা মিলছে না ট্যানারি মালিকদের

অন্যান্য বছরের এই সময় লালবাগের পোস্তার আড়ৎ থেকে কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া প্রায় শতভাগই বিক্রি হয়ে যায়। তবে, এবছর চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আড়ৎদাররা বলছেন, লবণজাতকরণের সাতদিন চলে গেলেও দেখা মিলছে না ট্যানারি মালিকদের। এমন বাস্তবতায়, কাঁচা চামড়া বিক্রি ও ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। 

কোরবানি ঈদের তিন-চারদিন পর থেকেই আড়ৎদারদের কাছ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনতে রাজধানীর লালবাগের পোস্তার জায়গার লেগে থাকে ট্রাকের জট। এ বছর, ঈদের পর সাত দিন কেটে গেলেও দেখা নেই ট্যানারি মালিকদের। নেই কেনা-বেচায় হট্টগোল।

তবে এর মধ্যেও যেসব ক্রেতা আসছেন, চামড়া দাম হাকছেন সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়েও কম। এমনভাবে চলতে থাকলে আগামীতে পূর্বপুরুষদের শতবছরের ঐতিহ্যের কাঁচা চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দেবেন অনেকে।

আড়ৎদারদের দাবি বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে চামড়া খাতকে সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।

আড়ৎদারদের সংগঠন বিএইচএসএমএর সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, শিগরিগই ফিরবেন ট্যানারি মালিকরা। জমে উঠবে ব্যবসা।

বর্তমান সংকট উত্তরণে ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পরিশোধেরও দাবি সংগঠনটি নেতাদের।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন