আর্কাইভ থেকে বিএনপি

ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক

ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক

শতভাগ ব্যক্তিতন্ত্রের ওপর দেশ চলছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের বিজয়ের এই মাসে আজকের আহ্বান ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সম্প্রতি বাউনিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারকে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। এই অবস্থায় দেশের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে জনগণ কোনো সুফল পায় না। জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হয়। এই অবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র নাই। আমি গণতন্ত্র নাই বলি না, বলি এক’শ ভাগ ব্যক্তিতন্ত্র। একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর পুরো দেশ আজকে চলছে। আমার মনে হয় আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, রক্ত দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। জীবন দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। সেই স্বাধীনতার মূল চেতনা এই বিজয়ের মাসে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারটা খুব জরুরি। আজকের আহ্বান ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
 
বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি জনগণের দল, সামর্থ্য অনুযায়ী দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ায়। একটা কথা, শীত আসলেই এই এলাকার বস্তিতে আগুন লাগে কেন? সরকারকে বলব, অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত করে আবিষ্কার করুন।

স্বাধীন দেশের কেন এই মানুষগুলো বস্তিতে থাকবে প্রশ্ন রেখে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, অবিলম্বে এই বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা দেন। এই বস্তিতে যে লোকগুলো থাকেন- এই জমি সরকারি। তাহলে প্রতিমাসে কারা বিনা পুঁজিতে মাসোহারা নেয়? এর সাথে কারা জড়িত? সরকার ইচ্ছে করলেই এদের খুঁজে বের করতে পারে কিন্তু সেই পারার কাজটা সরকার করে না।

আরও পড়ুনঃ

বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ

শাসন দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা নেই সরকারের​

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন’র উদ্যোগে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, পাতিল, কড়াই, প্লেট, চামজ,মগ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ৭৫টি পারিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কাওছার আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল সাজেদুল আলম টুটুল, বিএনপি নেতা আশরাফ আলী গাজী, মোতালেব, নজরুল ইসলাম নজরুল নজু, জামাল হোসেন বাপ্পিসহ কয়েক হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ব্যক্তিতন্ত্র | নিপাত | যাক | গণতন্ত্র | মুক্তি | পাক