জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের জন্য বারবার কারাবরণ করলেও তার অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে পদক প্রদান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, সেই অবদানটুকু কিন্তু মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। অনেক বিজ্ঞজন, আমি কারো নাম বলতে চাই না, চিনি তো সবাইকে। অনেকে বলেছেন, ওনার আবার কী অবদান ছিল? উনি তো জেলেই ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন বলে উনার কোন অবদান নেই? তাহলে উনি জেলে ছিলেন কেন? এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়েই তো তিনি বারবার কারাগারে গিয়েছেন। সেই গুরুত্ব কিন্তু কেউ দিতে চায়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার বাংলা ভাষার ওপর আঘাত এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সাহিত্যচর্চায় কোনো বাধা নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গতি পায় ভাষা আন্দোলন। আর ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে ভাষা শহীদ দিবস পালনের দাবি তোলা হয়। বারবার আঘাত আসার পরও বাংলা আজ সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। শহীদের রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে সাহিত্য চর্চায় কোনো বাধা নেই। যতই বাধা আসুক আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি - সবদিক থেকে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক অধিকার পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু বারবার আঘাত এসেছে। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নাম ও ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার বারবার চেষ্টা করা হয়।