চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচদিন বাড়লো। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। আগের সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের হজের যাত্রী, হজ এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি সরকার এ বছর হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভিসা পদ্ধতি (ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যান্ড পিক্টোরিয়াল) চালু করতে যাচ্ছে। এ পদ্ধতির অধীনে ভিসার আবেদন সাবমিট করার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন এ পদ্ধতিতে ভিসা করার জন্য পাসপোর্ট আপাতত নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।
তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করে যারা এরই মধ্যে ঢাকার আশকোনার হজ অফিসে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে তারা সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অথবা সেখান থেকে পাসপোর্ট নিয়ে অন্যকোনো সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসা কার্যক্রম শুরু হলে ভিসা সাবমিটের সেন্টার এবং পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
হজযাত্রী নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়েছেন এমন সবাই হজের নিবন্ধন করতে পারবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।